চাঁদপুরের হাইমচরে শিক্ষকের হাতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তালুকদার। অন্য দুই সদস্য হলেন কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম মীর হোসেন।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম জাকির হোসেন। তিনি হাইমচর উপজেলার দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পড়ান তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক জাকির হোসেন প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে কিংবা পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়ার প্রলোভনে ফেলে বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীও এমন হয়রানির শিকার হয়। সম্প্রতি সংঘটিত ওই ঘটনার বিচার জানানো হয় প্রধান শিক্ষকের কাছে। কিন্তু ছাত্রীর অভিভাবকের এমন অভিযোগ পাত্তা দেননি প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন। অন্যদিকে, সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে ভুক্তভোগীরা পুলিশকেও জানায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, অভিযুক্ত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রকাশ পেলে তিনি এলাকা ছেড়ে গাঢাকা দেন। তবে তিনি মুঠোফোনে দাবি করেন, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ‘ছাত্রী হয়রানির বিষয়ে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঘটনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’